ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে ডিসির কার্যালয়ে হামলা, গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিশাল আকার ধারণ করেন। সেই সঙ্গে একের পর এক গার্মেন্টস শ্রমিকরাও যোগ দিতে থাকেন। সবাই মিলে শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বর এলাকা অবরোধ করেন।

কিছুক্ষণ পর আন্দোলনে যোগ দেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালান। তারা প্রথমে কার্যালয়ের সামনে ডিসি থিমপার্কে আগুন দেয়। পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশের রাবার বুলেটে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

আন্দোলনকারীদের একজন রুবায়েত বলেন, ডিসি অফিসের কাছে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়ছে শুনে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। সামনে এগোতেই পুলিশ আমাদের ওপর গুলি ছুড়ে। আমাদের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আমার সামনে একজনের কপালে গুলি লেগেছে।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, গুলিবিদ্ধ ২৮ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ১০-১২ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যালয়ের সামনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে ডিসির কার্যালয়ে হামলা, গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বিশাল আকার ধারণ করেন। সেই সঙ্গে একের পর এক গার্মেন্টস শ্রমিকরাও যোগ দিতে থাকেন। সবাই মিলে শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বর এলাকা অবরোধ করেন।

কিছুক্ষণ পর আন্দোলনে যোগ দেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটি অংশ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হামলা চালান। তারা প্রথমে কার্যালয়ের সামনে ডিসি থিমপার্কে আগুন দেয়। পরে তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে যায়। এসময় জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশের রাবার বুলেটে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।

আন্দোলনকারীদের একজন রুবায়েত বলেন, ডিসি অফিসের কাছে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি ছুড়ছে শুনে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই। সামনে এগোতেই পুলিশ আমাদের ওপর গুলি ছুড়ে। আমাদের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আমার সামনে একজনের কপালে গুলি লেগেছে।

নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, গুলিবিদ্ধ ২৮ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে ১০-১২ জনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যালয়ের সামনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।