ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

ফরিদপুরের সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেখ সাদিক (৪৫) ও উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তীর (৩৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন মো. হাফিজুর রহমান মুন্নু (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। মামলার বাদী গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।

আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ওসি সেখ সাদিক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের শেখ আমিনউদ্দীনের ছেলে। গত ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সালথা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভররামদিয়া গ্রামের তাপস চক্রবর্তীর ছেলে। তন্ময় বর্তমানে জেলার বোয়ালমারী থানায় কর্মরত রয়েছেন।

 

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান মুন্নু উল্লেখ করেন, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরে গিয়ে তিনি (হাফিজুর রহমান মুন্নু) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামে ফিরে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকে সালথা থানার তৎকালীন ওসি সেখ সাদিক ও থানার উপপরিদর্শক তন্ময় বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলতেন, আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে গ্রামে এসে রাজনীতি করছেন। এখন আমাদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেবেন নইলে শান্তিতে থাকতে পারবেন না। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ রাতে মুন্নুকে আটক করেন।

এ সময় মুন্নুসহ আসামিদের কাছে ২০ লাখ চাঁদা দাবি করেন তৎকালীন ওসি এবং এসআই। টাকা না দিলে থানায় নিয়ে নির্যাতন ও হাত-পা ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি (মুন্নু) প্রাণভয়ে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে দেন। এ ঘটনার পরও হাফিজুর রহমান মুন্নুকে থানায় নিয়ে রাতভর অমানবিকভাবে নির্যাতন করে পরের দিন একটি বিস্ফোরক মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। 

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় আদালতে চালান দেওয়ার পরে এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রসফায়ারের হুমকিও দেওয়া হয়।

 

তবে চাঁদাবাজির বিষয়টি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করে সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘আমি কখনোই কারো কাছে থেকে চাঁদাবাজি ও ঘুষ দাবি করিনি। আমি সালথায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি। আমাকে অযথা হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’

মামলার অন্য আসামি উপপরিদর্শক তন্ময় চক্রবর্তীও দায়েরকৃত এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করেছেন। আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনিও আশা ব্যক্ত করেছেন।

ফরিদপুরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
ফরিদপুরের সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেখ সাদিক (৪৫) ও উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তীর (৩৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন মো. হাফিজুর রহমান মুন্নু (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। মামলার বাদী গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।

আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ওসি সেখ সাদিক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের শেখ আমিনউদ্দীনের ছেলে। গত ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সালথা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় চক্রবর্তী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভররামদিয়া গ্রামের তাপস চক্রবর্তীর ছেলে। তন্ময় বর্তমানে জেলার বোয়ালমারী থানায় কর্মরত রয়েছেন।

 

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান মুন্নু উল্লেখ করেন, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অবসরে গিয়ে তিনি (হাফিজুর রহমান মুন্নু) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামে ফিরে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকে সালথা থানার তৎকালীন ওসি সেখ সাদিক ও থানার উপপরিদর্শক তন্ময় বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলতেন, আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে গ্রামে এসে রাজনীতি করছেন। এখন আমাদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেবেন নইলে শান্তিতে থাকতে পারবেন না। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ রাতে মুন্নুকে আটক করেন।

এ সময় মুন্নুসহ আসামিদের কাছে ২০ লাখ চাঁদা দাবি করেন তৎকালীন ওসি এবং এসআই। টাকা না দিলে থানায় নিয়ে নির্যাতন ও হাত-পা ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি (মুন্নু) প্রাণভয়ে তাৎক্ষণিক পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে দেন। এ ঘটনার পরও হাফিজুর রহমান মুন্নুকে থানায় নিয়ে রাতভর অমানবিকভাবে নির্যাতন করে পরের দিন একটি বিস্ফোরক মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। 

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় আদালতে চালান দেওয়ার পরে এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রসফায়ারের হুমকিও দেওয়া হয়।

 

তবে চাঁদাবাজির বিষয়টি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করে সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ‘আমি কখনোই কারো কাছে থেকে চাঁদাবাজি ও ঘুষ দাবি করিনি। আমি সালথায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি। আমাকে অযথা হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’

মামলার অন্য আসামি উপপরিদর্শক তন্ময় চক্রবর্তীও দায়েরকৃত এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করেছেন। আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনিও আশা ব্যক্ত করেছেন।