ছাত্র-জনতার এই গন অভ্যুত্থান আন্দোলনে শুরু থেকেই অনলাইন অফ্লাইন উভয় প্লাটফর্মেই বেশ সক্রিয় ছিলেন “এম এস এক্সেসরিজ” ও “ন্যাচার রেঞ্চ এগ্রো” এর ডিরেক্টর “মুসা”।
গত ১৮ জুলাই ২০২৪ দুপুরের আগ থেকেই বিবেকের তাগিদে আন্দোলনে সরাসরি মাঠে যোগদান করেন মুসা। দুপুর ২ টার দিকে চাষাড়া আন্দোলন কে লক্ষ্য করে শুরু হয় পুলিশের ধাওয়া পালটা ধাওয়া সেই সাথে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে পুলিশ। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে, যে যার মত মহল্লার অলিতে গলিতে আশ্রয় নেয়।
সে সময় মুসা সহ কয়েকজন দৌড়ে চলে আসেন উত্তর চাষাড়া বাগে জান্নাত মসজিদ গলিতে। ঠিক এই মুহুর্তে রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে পুলিশের এক সদস্য তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুসার মাথায় রাবার বুলেট লাগে বেশ কয়েক জায়গায় জখম হয়। সাথে সাথে তার চেহারা রক্তে ভেসে যায়। কোনরকম রাস্তা থেকে পাশ কাটিয়ে তার সহকর্মী বড় ভাই সাব্বির এর সাহায্য নিয়ে সেই গলিতে তার অফিসে পৌছে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট নেন।
বেশ কিছু বুলেটের সীসা মাথা ও চেহারার আশপাশে ছুয়ে জখম করলেও দুইটি সীসা মাথার বা দিকে গেথে যায়। যেটা মুসা প্রাথমিক ভাবে বুঝতে না পারলেও ইদানিং তার মাথার যন্ত্রনার ফলে চিকিত্সক এর স্মরনাপন্ন হলে এক্সরে করে দেখা যায় ভিতরে দুটি সীসা রয়ে গেছে। মাথায় একটি মাইনর অপারেশন এর মাধ্যমে এই সীসা বের করে আনা সম্ভব বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ পপুলার হসপিটালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
আমরা দোয়া করি এই মহান বীর যেন দ্রুত ই সুস্থ হয়ে উঠেন। জাতি কৃতজ্ঞতা ভরে সর্বদা স্মরনে রাখবে জনাব মুসা সাহেব সহ এমন হাজারো জীবিত বীর সন্তানদের ও সকল শহীদদের।