ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনারের ছিন্নভিন্ন দেহ নেয়া হয় ৩ ট্রলিব্যাগে

মনিটর এর দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এমপি আনারকে হত্যার পর ছিন্নভিন্ন দেহ তিনটি ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা।

 

বুধবার (২২ মে) রাতে মামলার তদন্তকারী কলকাতার সিআইডি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 
সিআইডি জানিয়েছে, গত ১৩ মে এমপি আনার দুটো অ্যাপ-ক্যাব বদল করে নিউটাউনের সাঞ্জিভা গার্ডেন্স আবাসনে ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন পুরুষ। 
 
পরদিন ১৪ তারিখ সকাল ১০টা ২ মিনিটে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুজন ব্যক্তি দুটো ট্রলিব্যাগ নিয়ে বের হন। এরপর প্রায় কয়েক ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় আরেকজন আরও একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যান।
 
১২ মে থেকে ২২ তারিখ গভীর রাত পর্যন্ত ওই আবাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, ওই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের এমপিকে হত্যা করা হয়। এবং হত্যা করে তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে ট্রলিব্যাগে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইন্টেলিজেন্স ব্যুারো বা আইবি সূত্র থেকে সবশেষ তথ্য বলছে, হত্যাকারীদের সন্ধানে ৬টি টিম কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে।
আনার হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি দায়িত্ব নিয়েছে। এরই মধ্যে বরাহনগর থানার মিসিং ডায়েরিকে এফআইআর হিসাবে ধরে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশও। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাক্সফোর্স বা এসটিএফ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র বলছে, ১৩ তারিখ এমপি ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে ঢুকে যাওয়ার পরই তিনজন সেখানে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে একজন মধ্যবয়স্ক নারীও ছিলেন। তারা সেখানে কয়েক ঘণ্টা থাকার পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান। তবে এমপি আনারকে আর ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি সিসিটিভির ফুটেজে।
সূত্রগুলোর একটি বড় অংশ মনে করছেন, যারা এই হত্যায় জড়িত তাদের সঙ্গে পূর্বপরিচয় ছিল আনারের। এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি এমপির পরিচিতরাই কেউ করেছেন বলেও গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।
 
এদিকে ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনে যে বাড়িতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে উঠেছিলেন, সেই বাড়ির মালিক স্বর্ণ ব্যবাসায়ী গোপাল বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করছে। সূত্র বলছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে গোপাল বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সকল প্রকার কম্পিউটার পূন্যের দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এমপি আনারের ছিন্নভিন্ন দেহ নেয়া হয় ৩ ট্রলিব্যাগে

আপডেট সময় : ১১:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এমপি আনারকে হত্যার পর ছিন্নভিন্ন দেহ তিনটি ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা।

 

বুধবার (২২ মে) রাতে মামলার তদন্তকারী কলকাতার সিআইডি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 
সিআইডি জানিয়েছে, গত ১৩ মে এমপি আনার দুটো অ্যাপ-ক্যাব বদল করে নিউটাউনের সাঞ্জিভা গার্ডেন্স আবাসনে ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন পুরুষ। 
 
পরদিন ১৪ তারিখ সকাল ১০টা ২ মিনিটে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুজন ব্যক্তি দুটো ট্রলিব্যাগ নিয়ে বের হন। এরপর প্রায় কয়েক ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় আরেকজন আরও একটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে যান।
 
১২ মে থেকে ২২ তারিখ গভীর রাত পর্যন্ত ওই আবাসনের গুরুত্বপূর্ণ সব সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, ওই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের এমপিকে হত্যা করা হয়। এবং হত্যা করে তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে ট্রলিব্যাগে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইন্টেলিজেন্স ব্যুারো বা আইবি সূত্র থেকে সবশেষ তথ্য বলছে, হত্যাকারীদের সন্ধানে ৬টি টিম কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে।
আনার হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি দায়িত্ব নিয়েছে। এরই মধ্যে বরাহনগর থানার মিসিং ডায়েরিকে এফআইআর হিসাবে ধরে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশও। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাক্সফোর্স বা এসটিএফ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র বলছে, ১৩ তারিখ এমপি ৫৬-বিইউ ফ্ল্যাটে ঢুকে যাওয়ার পরই তিনজন সেখানে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে একজন মধ্যবয়স্ক নারীও ছিলেন। তারা সেখানে কয়েক ঘণ্টা থাকার পর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান। তবে এমপি আনারকে আর ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি সিসিটিভির ফুটেজে।
সূত্রগুলোর একটি বড় অংশ মনে করছেন, যারা এই হত্যায় জড়িত তাদের সঙ্গে পূর্বপরিচয় ছিল আনারের। এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি এমপির পরিচিতরাই কেউ করেছেন বলেও গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।
 
এদিকে ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনে যে বাড়িতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে উঠেছিলেন, সেই বাড়ির মালিক স্বর্ণ ব্যবাসায়ী গোপাল বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করছে। সূত্র বলছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে গোপাল বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।