ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে কারফিউ ঘোষণা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মহামুদ অপু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে “রোবাবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হল।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে সহিংসতা-সংঘাত দেখা দিলে গত ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে দেশে কারফিউ জারি করা হয়। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারফিউ শিথিল করার সময় ধারাবাহিকভাবে বাড়াচ্ছিল সরকার।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার আহ্বান উপেক্ষা করে শনিবার সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যোগ দিয়েছে। সঙ্গে আছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি মিছিলের ডাক দিয়ে রেখেছে।
রোববার অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘর্ষ এবং হতাহতের খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে কারফিউয়ের নতুন ঘোষণা দিল সরকার।