ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকাত আতঙ্কে মোহাম্মদপুরে রাত জেগে পাহারা

ছিনতাই ও ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরবাসী। রাত জেগে নিজ নিজ এলাকা পাহারা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়েছে বলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা নাগাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই ছিনতাই ও ডাকাতির শিকার হয় ঢাকা উদ্যান, সাত সমজিদ হাউজিং, ৪০ ফিট এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ রাতে অন্তত দেড় শ ছিনতাইকারী পুরো এলাকাজুড়ে সক্রিয় ছিল। তাদের হাতে ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র। ছিনতাইকারীদের কেউ পায়ে হেঁটে ছিনতাই ও ডাকাতি করেছে। কেউ এসেছিলেন মোটরসাইকেল, লেগুনা ও পিকআপ ভ্যানে৷

ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের মোহাম্মদপুর’ এর মাধ্যমে এ খবর জানতে পারেন পুরো এলাকাবাসী। ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়ে স্থানীয়দের মসজিদের মাইকের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়৷ একইসঙ্গে এলাকাবাসীকে বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সড়কে নেমে আসেন শত শত বাসিন্দা।

চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের পাশের এলাকা ঢাকা উদ্যানে ডাকাতি হচ্ছে, এমন খবর শোনার পর আমরা মসজিদের মাইকে সবাইকে বাসা থেকে নেমে আসার আহ্বান জানাই। পরে আমরা মোড়ে মোড়ে পাহারা বসাইছি।’

একই তথ্য জানিয়েছেন সাত সমজিদ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইয়ের খবর শোনা যাচ্ছিল। আমরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে রাস্তায় নামতে বলি। মাদরাসার ছাত্রসহ সকলেই সারারাত রাস্তায় ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এইদিকে ছয়জন ছিনতাইকারীকে আমরা দেখেছি। তবে দৌড়ে ধরতে পারিনি।’

মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৫টা মোটরসাইকেলের ১৫ জন ডাকাত এলাকার দিকে আসছিল। আমরা আগে থেকেই পাহারায় ছিলাম। মানুষের উপস্থিতি দেখে তারা পালিয়ে যায়।’

স্থানীয়দের ভাষ্য, সতর্ক পাহারায় থাকতে গিয়ে পুরো মোহাম্মদপুর রাতভর নির্ঘুম ছিলো। কিছু মানুষ রাস্তায় পাহারায় ছিলেন, আবার অনেকে বাসায় থাকলেও তারাও ছিলেন সক্রিয় ও আতঙ্কিত।

ডাকাত আতঙ্কে মোহাম্মদপুরে রাত জেগে পাহারা

আপডেট সময় : ০১:১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

ছিনতাই ও ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরবাসী। রাত জেগে নিজ নিজ এলাকা পাহারা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়েছে বলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা নাগাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই ছিনতাই ও ডাকাতির শিকার হয় ঢাকা উদ্যান, সাত সমজিদ হাউজিং, ৪০ ফিট এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ রাতে অন্তত দেড় শ ছিনতাইকারী পুরো এলাকাজুড়ে সক্রিয় ছিল। তাদের হাতে ছিল ধারালো দেশীয় অস্ত্র। ছিনতাইকারীদের কেউ পায়ে হেঁটে ছিনতাই ও ডাকাতি করেছে। কেউ এসেছিলেন মোটরসাইকেল, লেগুনা ও পিকআপ ভ্যানে৷

ফেসবুক গ্রুপ ‘আমাদের মোহাম্মদপুর’ এর মাধ্যমে এ খবর জানতে পারেন পুরো এলাকাবাসী। ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়ে স্থানীয়দের মসজিদের মাইকের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়৷ একইসঙ্গে এলাকাবাসীকে বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সড়কে নেমে আসেন শত শত বাসিন্দা।

চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের পাশের এলাকা ঢাকা উদ্যানে ডাকাতি হচ্ছে, এমন খবর শোনার পর আমরা মসজিদের মাইকে সবাইকে বাসা থেকে নেমে আসার আহ্বান জানাই। পরে আমরা মোড়ে মোড়ে পাহারা বসাইছি।’

একই তথ্য জানিয়েছেন সাত সমজিদ হাউজিং এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইয়ের খবর শোনা যাচ্ছিল। আমরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে রাস্তায় নামতে বলি। মাদরাসার ছাত্রসহ সকলেই সারারাত রাস্তায় ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এইদিকে ছয়জন ছিনতাইকারীকে আমরা দেখেছি। তবে দৌড়ে ধরতে পারিনি।’

মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘৫টা মোটরসাইকেলের ১৫ জন ডাকাত এলাকার দিকে আসছিল। আমরা আগে থেকেই পাহারায় ছিলাম। মানুষের উপস্থিতি দেখে তারা পালিয়ে যায়।’

স্থানীয়দের ভাষ্য, সতর্ক পাহারায় থাকতে গিয়ে পুরো মোহাম্মদপুর রাতভর নির্ঘুম ছিলো। কিছু মানুষ রাস্তায় পাহারায় ছিলেন, আবার অনেকে বাসায় থাকলেও তারাও ছিলেন সক্রিয় ও আতঙ্কিত।