ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমিরাতের প্রেসিডেন্টের প্রতি ড. ইউনূসের কৃতজ্ঞতা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস চিঠিতে লেখেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-গণবিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ক্ষমা করার উদার সিদ্ধান্তের জন্য আপনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এই ক্ষমাশীলতা শুধুমাত্র আপনার সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের উদাহরণই দেয় না বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বাহক হিসেবে কাজ করে।

তিনি আরও লেখেন, তাদের সাজা বাতিল করার জন্য আপনার উদার সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে জড়িতদের পরিবার ও দেশবাসী এবং সাধারণভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমাদের কমিউনিটির কাছে গভীর স্বস্তি ও প্রশংসা পেয়েছে। সত্যিই, আপনার সহানুভূতি আমাদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান প্রকাশ করছি এবং আমাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে স্বাগতিক দেশগুলির স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা চিঠিতে লেখেন, আবারও, আপনার সদয় সিদ্ধান্তের জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যা আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং আমাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ এবং আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ, দীর্ঘ জীবন এবং অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।

এর আগে, মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

 

আমিরাতের প্রেসিডেন্টের প্রতি ড. ইউনূসের কৃতজ্ঞতা

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস চিঠিতে লেখেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-গণবিপ্লবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ক্ষমা করার উদার সিদ্ধান্তের জন্য আপনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এই ক্ষমাশীলতা শুধুমাত্র আপনার সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের উদাহরণই দেয় না বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের স্থায়ী বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি বাহক হিসেবে কাজ করে।

তিনি আরও লেখেন, তাদের সাজা বাতিল করার জন্য আপনার উদার সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে জড়িতদের পরিবার ও দেশবাসী এবং সাধারণভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমাদের কমিউনিটির কাছে গভীর স্বস্তি ও প্রশংসা পেয়েছে। সত্যিই, আপনার সহানুভূতি আমাদের গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান প্রকাশ করছি এবং আমাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে স্বাগতিক দেশগুলির স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা চিঠিতে লেখেন, আবারও, আপনার সদয় সিদ্ধান্তের জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, যা আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং আমাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ এবং আপনার সুস্বাস্থ্য, সুখ, দীর্ঘ জীবন এবং অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।

এর আগে, মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।