ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেলের অনলাইন টিকিটে ডিজিটাল জালিয়াতি

আব্দুল আজিজ। পেশায় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তার ঘরবাড়ি, আত্মীয়-স্বজন সবাই থাকেন চট্টগ্রাম নগরীতে। ট্রেনে চড়ে কখনো শহরের বাইরে যাননি তিনি। কিন্তু ট্রেনে না চড়লেও গত এক বছরে তার

মোবাইল নম্বরের বিপরীতে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে ১৮৪ বার। এমনকি সহজের এপস-এ তার নাম রেজিস্ট্রেশন করা আছে ইসরাব উদ্দিন জোবাঈর নামে। এক বছরে তার মোবাইল নম্বরের বিপরীতে অস্বাভাবিক

ট্রেন যাত্রাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ একদিন আজিজের ডাক পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায়। পরে নানা জেরা-জিজ্ঞাসাবাদের পর আজিজ পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হয়, ইসবার উদ্দিন জোবাঈর নামের কাউকে চেনেন না

তিনি। কখনো ট্রেনে চড়েননি, এমনকি রেলওয়ের কোনো কাজেও তিনি জড়িত নন।

মূলত গত ফেব্রুয়াারিতে পুলিশের জালে মো. আরিয়ান হোসাইন নামের এক টিকিট কালোবাজারিকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টিকিটের সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে আব্দুল আজিজের নাম। আজিজ

একা নয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে এভাবে একে একে হদিস মেলে প্রায় ৫০টি নম্বরের। যেসব নম্বরের ব্যবহারকারীরা জানেন না, তাদের নামে করা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। এমনকি অনেকেই কোনোদিন

ট্রেনেও চড়েননি। কেউ কেউ চড়েছেন জীবনে কয়েকবার। কিন্তু তাদের একেক জনের নামে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮৪ বার পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে।

রেলের অনলাইন টিকিটে ডিজিটাল জালিয়াতি

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আব্দুল আজিজ। পেশায় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তার ঘরবাড়ি, আত্মীয়-স্বজন সবাই থাকেন চট্টগ্রাম নগরীতে। ট্রেনে চড়ে কখনো শহরের বাইরে যাননি তিনি। কিন্তু ট্রেনে না চড়লেও গত এক বছরে তার

মোবাইল নম্বরের বিপরীতে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে ১৮৪ বার। এমনকি সহজের এপস-এ তার নাম রেজিস্ট্রেশন করা আছে ইসরাব উদ্দিন জোবাঈর নামে। এক বছরে তার মোবাইল নম্বরের বিপরীতে অস্বাভাবিক

ট্রেন যাত্রাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ একদিন আজিজের ডাক পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায়। পরে নানা জেরা-জিজ্ঞাসাবাদের পর আজিজ পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হয়, ইসবার উদ্দিন জোবাঈর নামের কাউকে চেনেন না

তিনি। কখনো ট্রেনে চড়েননি, এমনকি রেলওয়ের কোনো কাজেও তিনি জড়িত নন।

মূলত গত ফেব্রুয়াারিতে পুলিশের জালে মো. আরিয়ান হোসাইন নামের এক টিকিট কালোবাজারিকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টিকিটের সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে আব্দুল আজিজের নাম। আজিজ

একা নয়। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে এভাবে একে একে হদিস মেলে প্রায় ৫০টি নম্বরের। যেসব নম্বরের ব্যবহারকারীরা জানেন না, তাদের নামে করা হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। এমনকি অনেকেই কোনোদিন

ট্রেনেও চড়েননি। কেউ কেউ চড়েছেন জীবনে কয়েকবার। কিন্তু তাদের একেক জনের নামে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ১৮৪ বার পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে।