ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চর কাঁকড়ার ‘যাযাবর’ তরমুজ চাষিরা

এই চাষিরা তরমুজ চাষের জন্য দলবদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান। খুঁজে বের করেন বড় বড় জমি। জমি পছন্দ হলে মালিকদের থেকে কয়েক মাসের জন্য নেন ইজারা। সে জমিতে চাষ করেন তরমুজ।

একটি কাজের উদ্দেশ্যে কয়েক মাসের জন্য ছোট এক দ্বীপে জড়ো হন কয়েকশো মানুষ। কাজ শেষ হয়ে যাবার পর সেই দ্বীপ ছেড়ে তারা বেরিয়ে পড়েন পরবর্তী গন্তব্যের সন্ধানে।

দ্বীপটির নাম ‘চর কাঁকড়া’, আর ওই মানুষগুলোর একত্র হওয়ার উদ্দেশ্য হলো তরমুজ উৎপাদন করা।

এই রমজানে আপনার ইফতারের টেবিলে তরমুজগুলো সম্ভবত এই মানুষগুলোই উৎপাদন করেছেন।

লক্ষ্মীপুর ও ভোলার মাঝখানে অবস্থিত, লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং মূল ভূখণ্ড থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মেঘনা নদীর মাঝ বরাবর একটি দ্বীপ চর কাকঁড়া।

গুগল ম্যাপে এই চর খুঁজে লাভ নেই—কারণ এখনও সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি চরটি।

চলতি বছর স্থায়ী জনবসতিহীন দ্বীপটি ভরে গেছে তরমুজে। চাষিদের একটি দল ৫.৬৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ চরের ১ হাজার একর জমিজুড়ে এই মিষ্টি ফলের চাষ করেছেন।

বিনিয়োগকারী চাষিদের একজন দুলাল পাটোয়ারি। ৫০ বছর বয়সি দুলাল ২০০০ সাল থেকে তরমুজ চাষ করছেন। চলতি মৌসুমে মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর জেলার সীমানার চর কাঁকড়ায় একাই ৬৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন, বিনিয়োগ করেছেন ১ কোটি টাকা।

তিনি জানান, ‘এবার ফলন তেমন ভালো হয়নি। একরপ্রতি গড়ে ১ হাজার ৫০০-র মতো তরমুজের ফলন হয়েছে। আর গড় ওজন ৮-১০ কেজি।’

চর কাঁকড়ার ‘যাযাবর’ তরমুজ চাষিরা

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
এই চাষিরা তরমুজ চাষের জন্য দলবদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়ান। খুঁজে বের করেন বড় বড় জমি। জমি পছন্দ হলে মালিকদের থেকে কয়েক মাসের জন্য নেন ইজারা। সে জমিতে চাষ করেন তরমুজ।

একটি কাজের উদ্দেশ্যে কয়েক মাসের জন্য ছোট এক দ্বীপে জড়ো হন কয়েকশো মানুষ। কাজ শেষ হয়ে যাবার পর সেই দ্বীপ ছেড়ে তারা বেরিয়ে পড়েন পরবর্তী গন্তব্যের সন্ধানে।

দ্বীপটির নাম ‘চর কাঁকড়া’, আর ওই মানুষগুলোর একত্র হওয়ার উদ্দেশ্য হলো তরমুজ উৎপাদন করা।

এই রমজানে আপনার ইফতারের টেবিলে তরমুজগুলো সম্ভবত এই মানুষগুলোই উৎপাদন করেছেন।

লক্ষ্মীপুর ও ভোলার মাঝখানে অবস্থিত, লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এবং মূল ভূখণ্ড থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মেঘনা নদীর মাঝ বরাবর একটি দ্বীপ চর কাকঁড়া।

গুগল ম্যাপে এই চর খুঁজে লাভ নেই—কারণ এখনও সেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি চরটি।

চলতি বছর স্থায়ী জনবসতিহীন দ্বীপটি ভরে গেছে তরমুজে। চাষিদের একটি দল ৫.৬৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ চরের ১ হাজার একর জমিজুড়ে এই মিষ্টি ফলের চাষ করেছেন।

বিনিয়োগকারী চাষিদের একজন দুলাল পাটোয়ারি। ৫০ বছর বয়সি দুলাল ২০০০ সাল থেকে তরমুজ চাষ করছেন। চলতি মৌসুমে মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর জেলার সীমানার চর কাঁকড়ায় একাই ৬৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন, বিনিয়োগ করেছেন ১ কোটি টাকা।

তিনি জানান, ‘এবার ফলন তেমন ভালো হয়নি। একরপ্রতি গড়ে ১ হাজার ৫০০-র মতো তরমুজের ফলন হয়েছে। আর গড় ওজন ৮-১০ কেজি।’