ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের ইমিগ্রেশনে জনজটে প্রাণ গেল আরেক বাংলাদেশির

বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় অসুস্থ হয়ে নূর ইসলাম নামে বাংলাদেশি এক পাসপোর্টধারী যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

মনিটর এর দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা ও কাজে ধীরগতির কারণে রোদের মধ্যে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশি আরেক পাসপোর্টধারী যাত্রী।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তিনি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ভারতে ঢোকার জন্য শূন্যরেখায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় দীর্ঘ লাইনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

 

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বাস পাসপোর্টধারী যাত্রী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
তিনি বলেন, ‘ওই যাত্রী মেডিকেল ভিসা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছিলেন। আমাদের এখান থেকে দ্রুত ছাড় দেওয়া হলেও ওপারের ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। ভারতের ইমিগ্রেশনে রোগীদের জন্য আলাদা কোনো কাউন্টার না থাকায় মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

ভারতগামী ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলেও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সারতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এসময় কেউ অসুস্থ হলেও বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। এর আগেও অসুস্থ হয়ে অনেক পাসপোর্টধারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্তে দীর্ঘলাইনে অসুস্থ হয়ে মারা যান বিপ্লবী দাস। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুল বাগান এলাকার রবিতোষের স্ত্রী।

২০২১ সালের ১৯ সেপ্টম্বর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আব্দুর রহিম (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার মো. জহিরুল হকের ছেলে।

২০১৯ সালের ২ মে বেনাপোল চেকপোস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক পাসপোর্টধারী যাত্রী মারা যান। দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪২৫/৯ ডিপি রোড এলাকার মৃত শশী চন্দ্র দাসের ছেলে।

 

সকল প্রকার কম্পিউটার পূন্যের দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ভারতের ইমিগ্রেশনে জনজটে প্রাণ গেল আরেক বাংলাদেশির

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা ও কাজে ধীরগতির কারণে রোদের মধ্যে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশি আরেক পাসপোর্টধারী যাত্রী।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তিনি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ভারতে ঢোকার জন্য শূন্যরেখায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় দীর্ঘ লাইনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

 

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বাস পাসপোর্টধারী যাত্রী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
তিনি বলেন, ‘ওই যাত্রী মেডিকেল ভিসা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছিলেন। আমাদের এখান থেকে দ্রুত ছাড় দেওয়া হলেও ওপারের ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। ভারতের ইমিগ্রেশনে রোগীদের জন্য আলাদা কোনো কাউন্টার না থাকায় মেডিকেল ভিসা নিয়ে যাওয়া যাত্রীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

ভারতগামী ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলেও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সারতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এসময় কেউ অসুস্থ হলেও বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। এর আগেও অসুস্থ হয়ে অনেক পাসপোর্টধারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্তে দীর্ঘলাইনে অসুস্থ হয়ে মারা যান বিপ্লবী দাস। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুল বাগান এলাকার রবিতোষের স্ত্রী।

২০২১ সালের ১৯ সেপ্টম্বর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আব্দুর রহিম (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার মো. জহিরুল হকের ছেলে।

২০১৯ সালের ২ মে বেনাপোল চেকপোস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক পাসপোর্টধারী যাত্রী মারা যান। দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪২৫/৯ ডিপি রোড এলাকার মৃত শশী চন্দ্র দাসের ছেলে।