ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনা ও কাজে ধীরগতির কারণে রোদের মধ্যে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন বাংলাদেশি আরেক পাসপোর্টধারী যাত্রী।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে তিনি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ভারতে ঢোকার জন্য শূন্যরেখায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় দীর্ঘ লাইনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ভারতগামী ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারীরা জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম দ্রুত শেষ হলেও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সারতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এসময় কেউ অসুস্থ হলেও বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। এর আগেও অসুস্থ হয়ে অনেক পাসপোর্টধারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২০২১ সালের ১৯ সেপ্টম্বর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আব্দুর রহিম (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার মো. জহিরুল হকের ছেলে।
২০১৯ সালের ২ মে বেনাপোল চেকপোস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক পাসপোর্টধারী যাত্রী মারা যান। দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস নারায়ণগঞ্জ জেলার ৪২৫/৯ ডিপি রোড এলাকার মৃত শশী চন্দ্র দাসের ছেলে।