ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার ডাউন, ভোগান্তিতে ভারত-বাংলাদেশের ৪ শতাধিক যাত্রী

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুদেশের পাসপোর্টধারী চার শতাধিক যাত্রী।

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুদেশের পাসপোর্টধারী চার শতাধিক যাত্রী।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টা থেকে বন্ধ ছিল দুদেশে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। এর ৪ ঘণ্টা পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সার্ভার সচল হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে সার্ভার বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে বিমান টিকিটধারী যাত্রীদের পারাপারের ব্যবস্থা করেন আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী হবিগঞ্জের রাজীব দাস বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে আগরতলা ইমিগ্রেশন এসে বসে ছিলাম। সার্ভার না থাকায় মানুষের অনেক ভিড় ছিল সেখানে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করেছেন।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সার্ভার সমস্যা থাকতেই পারে। সেজন্য যাত্রীদের সঙ্গে তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যাত্রীরা স্বাভাবিক কারণেই জানতে চাইবে, সার্ভার কখন ঠিক হবে।’

ভারত থেকে আসা চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমি সকাল ৮টায় ইমিগ্রেশনে এসে শুনতে পাই তাদের সার্ভারে সমস্যা হয়েছে। যাত্রী পারাপর বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা বসে থেকে দুপুরের পর আমরা আসতে পেরেছি। তবে সার্ভার না থাকায় আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি যাত্রীদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাই বলতে চায় না। পার্সপোর্টধারী যাত্রীদের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ আমারা প্রত্যাশা করিনি।’

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘সকালে বিএসএফ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা তাদের সার্ভার সমস্যার কথা জানতে পারি। এতে সকাল থেকে স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এতে আখাউড়া প্রান্তে অন্তত ২০০ এবং আগরতলা প্রান্তে আরও দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পরেছিল। পরর্বতীতে যাদের বিমানের টিকেট আগে থেকে কাটা ছিল তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে দুপুরের পর সার্ভার ঠিক হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।’

আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার ডাউন, ভোগান্তিতে ভারত-বাংলাদেশের ৪ শতাধিক যাত্রী

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনে সার্ভার জটিলতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুদেশের পাসপোর্টধারী চার শতাধিক যাত্রী।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টা থেকে বন্ধ ছিল দুদেশে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। এর ৪ ঘণ্টা পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সার্ভার সচল হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে সার্ভার বন্ধ থাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে বিমান টিকিটধারী যাত্রীদের পারাপারের ব্যবস্থা করেন আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি যাত্রী হবিগঞ্জের রাজীব দাস বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে আগরতলা ইমিগ্রেশন এসে বসে ছিলাম। সার্ভার না থাকায় মানুষের অনেক ভিড় ছিল সেখানে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ আচরণ করেছেন।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সার্ভার সমস্যা থাকতেই পারে। সেজন্য যাত্রীদের সঙ্গে তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ করা ঠিক হয়নি। কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা যাত্রীরা স্বাভাবিক কারণেই জানতে চাইবে, সার্ভার কখন ঠিক হবে।’

ভারত থেকে আসা চট্টগ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমি সকাল ৮টায় ইমিগ্রেশনে এসে শুনতে পাই তাদের সার্ভারে সমস্যা হয়েছে। যাত্রী পারাপর বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা বসে থেকে দুপুরের পর আমরা আসতে পেরেছি। তবে সার্ভার না থাকায় আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি যাত্রীদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাই বলতে চায় না। পার্সপোর্টধারী যাত্রীদের সঙ্গে তাদের এমন আচরণ আমারা প্রত্যাশা করিনি।’

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘সকালে বিএসএফ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা তাদের সার্ভার সমস্যার কথা জানতে পারি। এতে সকাল থেকে স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। এতে আখাউড়া প্রান্তে অন্তত ২০০ এবং আগরতলা প্রান্তে আরও দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পরেছিল। পরর্বতীতে যাদের বিমানের টিকেট আগে থেকে কাটা ছিল তাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে দুপুরের পর সার্ভার ঠিক হলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।’