ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘গার্ডের চাকরি করলে কপালে ঈদের আনন্দ-ফুর্তি থাহে না’

দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। চারিদিকে আনন্দ হিল্লোল। কিন্তু সেই আনন্দধারার পাশ কাটিয়ে কেউ কেউ কর্মে অবিচল।তেমনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় দায়িত্ব পালনকারী নিরাপত্তাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে গিয়ে রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিলে অনেকেরই দেখা মেলে তাদের।

মতিঝিলের দিশকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পাওয়া গেল দুজন নিরাপত্তা কর্মীকে। একজন মোক্তার খান, আরেকজন আব্দুল কুদ্দুস। দুজনই নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তারা ইসলামী ব্যাংক ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোক্তার খানের বাড়ি শরিয়তপুরের ডামুড্যায়। তিনি বলেন, ‘পরিবার বাড়িতেই থাহে। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে থাহে। আমার চাকরির বয়স ৮ বছর। চাকরি জীবনে কোনদিন ঈদ পরিবারের লগে করতে পারি নাই। অনেক সময় আপনার ভাবী রাগ করে। পোলাপানও রাগ করে। জোর করে তো ছুটি নিতে পারি না।’

নাহিদ বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করছি। কামিল পাস করেছি। পরিবারের বড় ছেলে। অনেক দায়িত্ব। আগে বেকার ছিলাম, এখন ছোটখাটো হলেও চাকরি করছি। যতটুকু পারছি সীমিত আয় দিয়ে বাবা-মাকে দেখছি। তাই ঈদের সময় পরিবারের কাছে থাকাটা বড় মনে হচ্ছে না। যদিও খারাপ লাগছে।’

‘গার্ডের চাকরি করলে কপালে ঈদের আনন্দ-ফুর্তি থাহে না’

আপডেট সময় : ০২:২০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪

দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। চারিদিকে আনন্দ হিল্লোল। কিন্তু সেই আনন্দধারার পাশ কাটিয়ে কেউ কেউ কর্মে অবিচল।তেমনই রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় দায়িত্ব পালনকারী নিরাপত্তাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে গিয়ে রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিলে অনেকেরই দেখা মেলে তাদের।

মতিঝিলের দিশকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে পাওয়া গেল দুজন নিরাপত্তা কর্মীকে। একজন মোক্তার খান, আরেকজন আব্দুল কুদ্দুস। দুজনই নিরাপত্তা কর্মী সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তারা ইসলামী ব্যাংক ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন।

মোক্তার খানের বাড়ি শরিয়তপুরের ডামুড্যায়। তিনি বলেন, ‘পরিবার বাড়িতেই থাহে। বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে থাহে। আমার চাকরির বয়স ৮ বছর। চাকরি জীবনে কোনদিন ঈদ পরিবারের লগে করতে পারি নাই। অনেক সময় আপনার ভাবী রাগ করে। পোলাপানও রাগ করে। জোর করে তো ছুটি নিতে পারি না।’

নাহিদ বলেন, ‘আমি মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা করছি। কামিল পাস করেছি। পরিবারের বড় ছেলে। অনেক দায়িত্ব। আগে বেকার ছিলাম, এখন ছোটখাটো হলেও চাকরি করছি। যতটুকু পারছি সীমিত আয় দিয়ে বাবা-মাকে দেখছি। তাই ঈদের সময় পরিবারের কাছে থাকাটা বড় মনে হচ্ছে না। যদিও খারাপ লাগছে।’