ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মা কইয়া চিক্কুর দিয়াই সব শেষ’

রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (২৫), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইশা (৪)। বাকি দুজন হলেন: ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিল এমভি টিপু ও এমভি তাসরিফ। এই দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকতে গেলে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে এসে বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তার মাথায় আঘাত করে। আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মাইশা ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। তিনজনেই মারা যান।

জানা যায়, গাজীপুরের গাছা এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বিল্লাল হোসেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা ও তাদের চার বছর বয়সী সন্তান মাইশাকে নিয়ে পিরোজপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন।

লঞ্চে বাড়ি যাবেন বলে দুপুর নাগাদ তারা সদরঘাট পৌঁছান। কিন্তু লঞ্চে ওঠার আগেই হঠাৎ মোটা রশির আঘাতে গুরুতর আহত হন স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ছিটকে পড়েন বুড়িগঙ্গায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘লঞ্চের রশি চুইট্টা যাইয়া, বাড়ি খাইয়া ৫ জন লোক জায়গায় চইলা গেছে।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘কিচু বুজার আগেই সব শেষ। নগদেই ডেড। ওই মহিলা মা কইয়া একটা চিক্কুর দিছে, ওই পড়াতে শেষ।’

এ ঘটনার পরপরই এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪-এর রুট পারমিট বাতিল করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আর লঞ্চের চার মাস্টার ও এক ম্যানেজারকে আটকের পর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

‘মা কইয়া চিক্কুর দিয়াই সব শেষ’

আপডেট সময় : ০৭:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

রাজধানীর সদরঘাটে পন্টুনে বাঁধা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (২৫), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইশা (৪)। বাকি দুজন হলেন: ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ছিল এমভি টিপু ও এমভি তাসরিফ। এই দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকতে গেলে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে এসে বিল্লাল ও তার স্ত্রী মুক্তার মাথায় আঘাত করে। আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মাইশা ছিটকে পড়ে যায় পানিতে। তিনজনেই মারা যান।

জানা যায়, গাজীপুরের গাছা এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বিল্লাল হোসেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা ও তাদের চার বছর বয়সী সন্তান মাইশাকে নিয়ে পিরোজপুরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন।

লঞ্চে বাড়ি যাবেন বলে দুপুর নাগাদ তারা সদরঘাট পৌঁছান। কিন্তু লঞ্চে ওঠার আগেই হঠাৎ মোটা রশির আঘাতে গুরুতর আহত হন স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ছিটকে পড়েন বুড়িগঙ্গায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘লঞ্চের রশি চুইট্টা যাইয়া, বাড়ি খাইয়া ৫ জন লোক জায়গায় চইলা গেছে।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘কিচু বুজার আগেই সব শেষ। নগদেই ডেড। ওই মহিলা মা কইয়া একটা চিক্কুর দিছে, ওই পড়াতে শেষ।’

এ ঘটনার পরপরই এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪-এর রুট পারমিট বাতিল করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আর লঞ্চের চার মাস্টার ও এক ম্যানেজারকে আটকের পর তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।