ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশাখ উৎসবে বাড়তি মাত্রা যোগ করল মেট্রোরেল

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। উৎসবকে কেন্দ্র করে শাহবাগ, টিএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা আয়োজন থাকে। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘটে ব্যাপক মানুষের সমাগম। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা আনন্দ উপভোগ করে। সেই আনন্দ উৎসবে এবার যোগ হয়েছে মেট্রোরেল।

 

রোববার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে মেট্রোরেলের শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশন ঘুরে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ মেট্রো ব্যবহার করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আসছেন। বৈশাখ উৎসবের মূল আয়োজনস্থলে মেট্রোর এই দুটি স্টেশন থাকায় অল্প সময়ে তারা উৎসবে আসতে পারছে। এতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পেরে তারা ব্যাপক খুশি।

 
ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন মোট দুই দিন বন্ধের পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ফের চালু হয় মেট্রোরেল। এতে ঈদ আনন্দে মেট্রোরেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় রাজধানীবাসী। যার সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করে পহেলা বৈশাখ।  
 
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের এই উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো সবার জন্যই আনন্দের। সেই আনন্দে মেট্রোরেল যোগ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
কথা হয় প্রথমবারের মতো মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীবের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘মেট্রোরেল থাকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরেছি। এটাই আমার প্রথমবার। মেট্রোরেল না থাকলে হয়তো এবারও আসা হতো না। বাইরে তীব্র গরম ও ঈদের ছুটির কারণে রাস্তায় যানবাহনও কম। মেট্রোরেলের কারণেই বিপুল সংখ্যক মানুষ বৈশাখ উসবে শামিল হতে পেরেছে।’
কথা হয় আরেক যাত্রী লামিসা জামানের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেট্রোতে করে বর্ষবরণ উৎসবে এসেছি। এত মানুষের সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছাড়া অতি অল্প সময়ে উত্তরা থেকে বৈশাখ উৎসবে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-প্রকল্প পরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ঈদের পর মেট্রোরেল আবারও চালু হয়েছে। সেই হিসেবে বাংলা নববর্ষের দিনও মেট্রো তার স্বাভাবিক কার্যক্রম বহাল রাখছে। এতে যাত্রীরা দ্রুত-নির্ঝঞ্ঝাটভাবে উৎসবকেন্দ্রে যেতে পারছে, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারছে, এটি অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।

বৈশাখ উৎসবে বাড়তি মাত্রা যোগ করল মেট্রোরেল

আপডেট সময় : ০২:২৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। উৎসবকে কেন্দ্র করে শাহবাগ, টিএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা আয়োজন থাকে। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ, চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘটে ব্যাপক মানুষের সমাগম। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা আনন্দ উপভোগ করে। সেই আনন্দ উৎসবে এবার যোগ হয়েছে মেট্রোরেল।

 

রোববার (১৪ এপ্রিল) সরেজমিনে মেট্রোরেলের শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশন ঘুরে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ মেট্রো ব্যবহার করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আসছেন। বৈশাখ উৎসবের মূল আয়োজনস্থলে মেট্রোর এই দুটি স্টেশন থাকায় অল্প সময়ে তারা উৎসবে আসতে পারছে। এতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পেরে তারা ব্যাপক খুশি।

 
ঈদের দিন ও ঈদের পরদিন মোট দুই দিন বন্ধের পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ফের চালু হয় মেট্রোরেল। এতে ঈদ আনন্দে মেট্রোরেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় রাজধানীবাসী। যার সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করে পহেলা বৈশাখ।  
 
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের এই উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো সবার জন্যই আনন্দের। সেই আনন্দে মেট্রোরেল যোগ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
কথা হয় প্রথমবারের মতো মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীবের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘মেট্রোরেল থাকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরেছি। এটাই আমার প্রথমবার। মেট্রোরেল না থাকলে হয়তো এবারও আসা হতো না। বাইরে তীব্র গরম ও ঈদের ছুটির কারণে রাস্তায় যানবাহনও কম। মেট্রোরেলের কারণেই বিপুল সংখ্যক মানুষ বৈশাখ উসবে শামিল হতে পেরেছে।’
কথা হয় আরেক যাত্রী লামিসা জামানের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেট্রোতে করে বর্ষবরণ উৎসবে এসেছি। এত মানুষের সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছাড়া অতি অল্প সময়ে উত্তরা থেকে বৈশাখ উৎসবে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-প্রকল্প পরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ঈদের পর মেট্রোরেল আবারও চালু হয়েছে। সেই হিসেবে বাংলা নববর্ষের দিনও মেট্রো তার স্বাভাবিক কার্যক্রম বহাল রাখছে। এতে যাত্রীরা দ্রুত-নির্ঝঞ্ঝাটভাবে উৎসবকেন্দ্রে যেতে পারছে, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারছে, এটি অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।