বুধবার (৮ মে) গোয়েন্দা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা এসএমসির নকল ওরালস্যালাইন-এন এবং টেস্টি স্যালাইন তৈরি করে বিভিন্ন দোকান ও ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছিল। পরে স্যালাইন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– আনোয়ার হোসেন (৩৮), শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), মোরশেদুল ইসলাম (৫১), সবুজ মিয়া (২৩), আরিফ (২৩) ও হানিফ মিয়া (৩০)।
ডিবি প্রধান জানান, দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে একটু সুস্থ ও স্বস্তিতে থাকতে অনেকেই পানির পাশাপাশি স্যালাইন পান করে থাকেন। একারণে চাহিদা বেড়েছে স্যালাইনের। সেই সুযোগ নিয়েছে একশ্রেণির প্রতারক।
আসল স্যালাইনের মতো করে তারা নকল স্যালাইনগুলো বানাতো। এরপর মানবিক কাজের নামে তারা বিভিন্ন জায়গায় এগুলো বিলি করে প্রচারণা চালাতো। কখনো কখনো তৈরিকৃত ভেজাল পণ্য বিক্রিতে অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দিতো।
হারুন অর রশীদ জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চক্রটি নকল স্যালাইন তৈরি করে আসছিল। শুধুমাত্র চিনি ও লবণ দিয়ে এসব ভেজাল স্যালাইন মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ভেজাল এসব পণ্য তৈরি রুখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ডিবি প্রধান।