ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সারা দেশে অর্ধেকের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল!

মনিটর এর দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারা দেশে ৪ মোবাইল অপারেটরের অর্ধেকের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৫ হাজার ৬০১টি টাওয়ারের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ২২ হাজার ২১৮টি। মোট টাওয়ার সংখ্যার ৪৮ শতাংশই অচল বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। তবে এটি বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য।

চার মোবাইল অপারেটরের মধ্যে রয়েছে টেলিটক, বাংলালিংক, রবি ও গ্রামীণফোন। এই অপারেটরদের দেয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে এ মুহূর্তে ২৬ হাজার মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার অচল। সেক্ষেত্রে দেশের প্রধান মোবাইল অপারেটরের ৫৭ শতাংশের বেশি টাওয়ার এখন অচলাবস্থায় রয়েছে।

বিটিআরসির সেই রিপোর্টে মোবাইল নেটওয়ার্কের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে রাঙ্গামাটি। এ জেলার ৯৩টি সাইটের মধ্যে মোট ৭৬টিই অচল এখন। এছাড়া মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায়ও নেটওয়ার্কের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে অধিকাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে যাওয়ায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণেই এসব টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।

এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়া এবং বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট ক্যাবলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর শতাধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোর ৩২০টি পপের মধ্যে ২২৫টিই এখন অচল অবস্থায় রয়েছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন আইএসপিআর পোপ পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।

সকল প্রকার কম্পিউটার পূন্যের দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সারা দেশে অর্ধেকের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল!

আপডেট সময় : ১২:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সারা দেশে ৪ মোবাইল অপারেটরের অর্ধেকের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৫ হাজার ৬০১টি টাওয়ারের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ২২ হাজার ২১৮টি। মোট টাওয়ার সংখ্যার ৪৮ শতাংশই অচল বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। তবে এটি বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য।

চার মোবাইল অপারেটরের মধ্যে রয়েছে টেলিটক, বাংলালিংক, রবি ও গ্রামীণফোন। এই অপারেটরদের দেয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে এ মুহূর্তে ২৬ হাজার মোবাইল নেটওয়ার্কের টাওয়ার অচল। সেক্ষেত্রে দেশের প্রধান মোবাইল অপারেটরের ৫৭ শতাংশের বেশি টাওয়ার এখন অচলাবস্থায় রয়েছে।

বিটিআরসির সেই রিপোর্টে মোবাইল নেটওয়ার্কের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে রাঙ্গামাটি। এ জেলার ৯৩টি সাইটের মধ্যে মোট ৭৬টিই অচল এখন। এছাড়া মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায়ও নেটওয়ার্কের ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে অধিকাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে যাওয়ায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণেই এসব টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়।

এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়া এবং বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট ক্যাবলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর শতাধিক আইএসপি অপারেটরের নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোর ৩২০টি পপের মধ্যে ২২৫টিই এখন অচল অবস্থায় রয়েছে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিভিন্ন আইএসপিআর পোপ পোর্টেবল জেনারেটর দিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা যায়।