ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে ‘শহিদ’ শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান

মধ্যপ্রাচ্যে মেটার কনটেন্ট নীতি নিয়ে বহু বছর ধরে সমালোচনা রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ‘শহিদ’ শব্দের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এক বছর পর্যালোচনার পর গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এই সুপারিশ করেছে মেটা ওভারসাইট বোর্ড।

মেটা ওভারসাইট বোর্ড বলেছে, ‘শহিদ’ শব্দটির ব্যাপারে ফেসবুকের দৃষ্টিভঙ্গি ‘বাড়াবাড়ি’ পর্যায়ের এবং এ কারণে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর বক্তব্য অযথা চাপা পড়েছে।

 
মেটার অর্থায়নের চালিত বোর্ড ফেসবুককে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘শহিদৎ শব্দসংবলিত পোস্ট শুধু তখনই মুছে ফেলা উচিৎ, যখন তাতে সহিংসতার স্পষ্ট লক্ষণ তাকে বা পোস্টগুলো পৃথকভাবে মেটার অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করে।
 
মধ্যপ্রাচ্যে মেটার কনটেন্ট নীতি নিয়ে বহু বছর ধরে সমালোচনা রয়েছে। ২০২১ সালে মেটার নিজস্ব এক কমিশনের সমীক্ষায় দেখা যায়, ফেসবুকের নীতি ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য দেশের আরবি ভাষাভাষী
ব্যবহারকারীদের ‘মানবাধিকারের ওপর বিরূপ প্রভাব’ ফেলেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইল ও হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর ফেসবুকের নীতির ব্যাপারে সমালোচনা আরও বেড়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত  ও
গাজার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও ভিডিও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যবহারকারীরা।
 
কিন্তু ‘কমিউনিটি স্টান্ডার্ন্ডে’র দোহাই দিয়ে এসব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ‘শহিদ’ সম্পর্কিত নির্দেশনার মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথেই সুর
মেলালো মেটার ওভারসাইট বোর্ড। 
 
তারা বলেছে, শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। মেটার নীতিগুলো সেসব অর্থের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিকর নয় এমন কনটেন্টও মুছে ফেলা হয়েছে।

ফেসবুকে ‘শহিদ’ শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান

আপডেট সময় : ০১:১২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ‘শহিদ’ শব্দের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এক বছর পর্যালোচনার পর গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এই সুপারিশ করেছে মেটা ওভারসাইট বোর্ড।

মেটা ওভারসাইট বোর্ড বলেছে, ‘শহিদ’ শব্দটির ব্যাপারে ফেসবুকের দৃষ্টিভঙ্গি ‘বাড়াবাড়ি’ পর্যায়ের এবং এ কারণে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর বক্তব্য অযথা চাপা পড়েছে।

 
মেটার অর্থায়নের চালিত বোর্ড ফেসবুককে পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ‘শহিদৎ শব্দসংবলিত পোস্ট শুধু তখনই মুছে ফেলা উচিৎ, যখন তাতে সহিংসতার স্পষ্ট লক্ষণ তাকে বা পোস্টগুলো পৃথকভাবে মেটার অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করে।
 
মধ্যপ্রাচ্যে মেটার কনটেন্ট নীতি নিয়ে বহু বছর ধরে সমালোচনা রয়েছে। ২০২১ সালে মেটার নিজস্ব এক কমিশনের সমীক্ষায় দেখা যায়, ফেসবুকের নীতি ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য দেশের আরবি ভাষাভাষী
ব্যবহারকারীদের ‘মানবাধিকারের ওপর বিরূপ প্রভাব’ ফেলেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইল ও হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর ফেসবুকের নীতির ব্যাপারে সমালোচনা আরও বেড়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত  ও
গাজার ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ও ভিডিও ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যবহারকারীরা।
 
কিন্তু ‘কমিউনিটি স্টান্ডার্ন্ডে’র দোহাই দিয়ে এসব ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার জন্য মেটাকে অভিযুক্ত করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ‘শহিদ’ সম্পর্কিত নির্দেশনার মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথেই সুর
মেলালো মেটার ওভারসাইট বোর্ড। 
 
তারা বলেছে, শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। মেটার নীতিগুলো সেসব অর্থের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিকর নয় এমন কনটেন্টও মুছে ফেলা হয়েছে।