ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী লাশের রহস্য উন্মোচন নারায়নগঞ্জ পিবিআই

নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকার প্রাপ্ত হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী লাশের/হত্যার রহস্য উন্মোচন। হত্যাকান্ডে জড়িত ০২ জন আসামী গ্রেফতার।
গত ০৫/০৩/২৪ ইং তারিখে নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় ঢাকা হাতে মুন্সিগঞ্জগামী রাস্তার বামপাশে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী একটি লাশ পাওয়া যায়। সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা ভিকটিমের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের নাম পরিচয় সনাক্ত করে। ভিকটিমের নাম অনন্যা কর্মকার (৩৫), স্বামী-মৃত হরে কৃষ্ণ কর্মকার, পিতাঃ মৃত নগেন্দ্ররাথ কর্মকার, সাং-ডাক্তারপট্রি, ৪ নং ওয়ার্ড, থানা ও জেলাঃ ঝালকাঠি। লোমহর্ষক ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়া, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা ব্যাপক গুরুত্বের সাথে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে গত ০৫/০৩/২৪ তারিখে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং-০৬, তাং-০৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করলে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা মামলাটি গত ২৭/০৩/২৪ তারিখে মামলাটি খউদ্যোগে তদন্তভার গ্রহন করে।
অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আল মামুন শিকদার মহোদয়ের সার্বিক সহযোগীতায় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজেদুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি চৌকশ টিম মামলা গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার ঘটনার সরাসরি জড়িত ১। মোঃ জীবন (৩০), পিতাঃ ইয়াকুব, সাং-মুরাদপুর, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ কুমিল্লা কে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন থানা এলাকা হতে এবং আসামী জীবনের কথিত স্ত্রী আসামী ২। নুসরাত জাহান মীম (৪০), স্বামী-এনামুল কবির, পিতা মৃতঃ সৈয়দ আঃ মান্নান, মাতাঃ মৃত পেয়ারা বেগম, সাংও হাসনাপাড়া, থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালী কে গত ৩০/০৩/২৪ খ্রিঃ তারিখে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা যায় অত্র মামলার মৃত ভিকটিম অনন্যা কর্মকার (৩৫) নারায়নগঞ্জ সদর থানার চর সৈয়দপুরে স্বামী হরে কৃষ্ণ এর সাথে বসবাস করতেন। তাহার স্বামী শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করত। ভিকটিমের স্বামী অনুমান ০১ (এক) বছর পূর্বে মারা যায়। তাহার কোন সন্তান ছিলনা না। অত্র মাফলার আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০), স্বামী-এনামুল কবির, পিতা মৃতঃ সৈয়দ আঃ মান্নান, মাতাঃ মৃত পেয়ারা বেগম, সাঃ হাসনাপাড়া, থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালী তার যামীর সাথে যোগাযোগ না থাকায় সে তার ননদের সাথে চর সৈয়দপুরের বাসায় থাকত। ভিকটিম অনন্যাও চর সৈয়দপুরের তাদের পাশের বাসায় থাকত। সেই সুবাদে ভিকটিমের সাথে আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) এর পরিচয় ঘটে এবং সুসম্পর্ক তৈরি হয়। গত ১৭/০২/২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০), ভিকটিম অনন্যা এবং মামলার প্রধান আসামী মোঃ জীবন (৩০), যিনি আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) এর কথিত স্বামী এর সহায়তায় ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট সংলগ্ন সন্তাপুরে বাসা ভাড়া নেয়। আসামী মোঃ জীবন (৩০), গান বাজনা করত, বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াত, সে নেশায় আসক্ত ছিল। ঘটনার দুই দিন আগে অর্থ্যাৎ গত ০২/০৩/২৪ তারিখে দুপুর বেলা ভিকটিম অনন্যা বাথরুমে গোসল করতে গেলে আসামী মোঃ জীবন (৩০), ভিকটিমের মোবাইল ফোন চেক করে ভিকটিমের কিছু কল রেকর্ড, মেসেজ দেখে বুঝতে পারে যে ভিকটিমের ভাই ভিকটিম কে আমেরিকা হতে ৫০,০০০/ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) পাঠিয়েছে। উক্ত বিষয় দেখে আসামী জীবন সরকার ভিকটিমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আটতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন ০৪/০৩/২৪ তারিখে সকাল অনুমান ১০.৩০ মিনিটে আড়াইহাজার থানা এলাকা হতে পালা গান শেষে সন্তাপুরের বাসায় ফিরে। ঐদিন সন্তাপুরে গ্যাস এর চাপ কম থাকায় আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীন (৪০) রান্না করতে পারে নাই। এই সুযোগে আসামী ১। মোঃ জীবন (৩০) বাইরে থেকে নিজেদের এবং ভিকটিম অনন্যার জন্য খাবার কিনে নিয়ে আসে এবং সুযোগ বুঝে আসামী মোঃ জীবন (৩০) ভিকটিমের খাবারের সাথে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। ভিকাটম সেই ঔষধ মিশ্রিত খাবার খেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে তদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসময় আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) রান্না ঘরে খাবার প্লেট পরিষ্কার করতে যায়। সেই সুযোগে আসামী জীবন ভিকটিমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দুপুর অনুমান ২.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম অনন্যার রুমে প্রবেশ করলে ভিকটিম অনন্যা আসামী জীবন কে দেখে ফেলায় চিৎকার দিয়ে উঠে। আসামী জীবন সাথে সাথে ভিকটিমের বিছানায় থাকা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিম এর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) কে গ্যাস লাইট নিয়ে আসতে বলে। আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) তার স্বামী আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথামত ভিকটিমের পায়ের আঙ্গুলে আগুন দিলে ভিকটিম নড়াচড়া না করায় তারা ভিকটিম এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর আসামীদ্বয় ভিকটিমের লাশ গোপন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। উভয়ের পরিকল্পনামতে লাশ ভিকটিমের ঘরে তালাবন্ধ করে বাইরে গিয়ে প্লাস্টিকের বড় বস্তা কিনে নিয়ে আসে পুনরায় বাসায় ফিরে আসে। তারা সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকার সময় কিনে আনা বন্ধায় ভিকটিম এর হাত পা বেধে বালিশ, কম্বল, পরিধেয় বস্ত্রাদী দিয়ে লাশ বস্তাবন্দী করে। তারপর তারা সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় বাসা পরিবর্তনের কথা বলে ২৫০ টাকার একটি অটো ভাড়া করে। আসামীরা বস্তাবন্দি লাশ অটোতে করে মামলার ঘটনাস্থল নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন এলাকায় চর সৈয়দপুর এলাকায় ঢাকা হতে মুন্সিগঞ্জগামী রাস্তার বামপাশে ফেলে রেখে উভয়ে পালিয়ে যায়। মামলাটি। প্রাথমিক তদন্তকালে বর্ণিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। গত ৩১/০৩/২৪ তারিখে মামলার আসামীয়য় কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হলে আসামী ১। মোঃ জীবন (৩০), বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এর আদালতে এবং আসামী ২। মুসরাত জাহান মীম (৪০), বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হায়দার আলীর আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার পরবর্তী তদন্ত অব্যাহত আছে।

হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী লাশের রহস্য উন্মোচন নারায়নগঞ্জ পিবিআই

আপডেট সময় : ১২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকার প্রাপ্ত হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী লাশের/হত্যার রহস্য উন্মোচন। হত্যাকান্ডে জড়িত ০২ জন আসামী গ্রেফতার।
গত ০৫/০৩/২৪ ইং তারিখে নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় ঢাকা হাতে মুন্সিগঞ্জগামী রাস্তার বামপাশে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় বস্তাবন্দী একটি লাশ পাওয়া যায়। সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা ভিকটিমের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের নাম পরিচয় সনাক্ত করে। ভিকটিমের নাম অনন্যা কর্মকার (৩৫), স্বামী-মৃত হরে কৃষ্ণ কর্মকার, পিতাঃ মৃত নগেন্দ্ররাথ কর্মকার, সাং-ডাক্তারপট্রি, ৪ নং ওয়ার্ড, থানা ও জেলাঃ ঝালকাঠি। লোমহর্ষক ঘটনাটি প্রিন্ট মিডিয়া, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা ব্যাপক গুরুত্বের সাথে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে গত ০৫/০৩/২৪ তারিখে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং-০৬, তাং-০৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করলে পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা মামলাটি গত ২৭/০৩/২৪ তারিখে মামলাটি খউদ্যোগে তদন্তভার গ্রহন করে।
অ্যাডিশনাল আইজিপি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আল মামুন শিকদার মহোদয়ের সার্বিক সহযোগীতায় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজেদুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি চৌকশ টিম মামলা গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার ঘটনার সরাসরি জড়িত ১। মোঃ জীবন (৩০), পিতাঃ ইয়াকুব, সাং-মুরাদপুর, থানাঃ কোতয়ালী, জেলাঃ কুমিল্লা কে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন থানা এলাকা হতে এবং আসামী জীবনের কথিত স্ত্রী আসামী ২। নুসরাত জাহান মীম (৪০), স্বামী-এনামুল কবির, পিতা মৃতঃ সৈয়দ আঃ মান্নান, মাতাঃ মৃত পেয়ারা বেগম, সাংও হাসনাপাড়া, থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালী কে গত ৩০/০৩/২৪ খ্রিঃ তারিখে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে জানা যায় অত্র মামলার মৃত ভিকটিম অনন্যা কর্মকার (৩৫) নারায়নগঞ্জ সদর থানার চর সৈয়দপুরে স্বামী হরে কৃষ্ণ এর সাথে বসবাস করতেন। তাহার স্বামী শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করত। ভিকটিমের স্বামী অনুমান ০১ (এক) বছর পূর্বে মারা যায়। তাহার কোন সন্তান ছিলনা না। অত্র মাফলার আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০), স্বামী-এনামুল কবির, পিতা মৃতঃ সৈয়দ আঃ মান্নান, মাতাঃ মৃত পেয়ারা বেগম, সাঃ হাসনাপাড়া, থানাঃ কলাপাড়া, জেলাঃ পটুয়াখালী তার যামীর সাথে যোগাযোগ না থাকায় সে তার ননদের সাথে চর সৈয়দপুরের বাসায় থাকত। ভিকটিম অনন্যাও চর সৈয়দপুরের তাদের পাশের বাসায় থাকত। সেই সুবাদে ভিকটিমের সাথে আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) এর পরিচয় ঘটে এবং সুসম্পর্ক তৈরি হয়। গত ১৭/০২/২৪ খ্রিঃ তারিখে আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০), ভিকটিম অনন্যা এবং মামলার প্রধান আসামী মোঃ জীবন (৩০), যিনি আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) এর কথিত স্বামী এর সহায়তায় ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট সংলগ্ন সন্তাপুরে বাসা ভাড়া নেয়। আসামী মোঃ জীবন (৩০), গান বাজনা করত, বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াত, সে নেশায় আসক্ত ছিল। ঘটনার দুই দিন আগে অর্থ্যাৎ গত ০২/০৩/২৪ তারিখে দুপুর বেলা ভিকটিম অনন্যা বাথরুমে গোসল করতে গেলে আসামী মোঃ জীবন (৩০), ভিকটিমের মোবাইল ফোন চেক করে ভিকটিমের কিছু কল রেকর্ড, মেসেজ দেখে বুঝতে পারে যে ভিকটিমের ভাই ভিকটিম কে আমেরিকা হতে ৫০,০০০/ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) পাঠিয়েছে। উক্ত বিষয় দেখে আসামী জীবন সরকার ভিকটিমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আটতে থাকে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন ০৪/০৩/২৪ তারিখে সকাল অনুমান ১০.৩০ মিনিটে আড়াইহাজার থানা এলাকা হতে পালা গান শেষে সন্তাপুরের বাসায় ফিরে। ঐদিন সন্তাপুরে গ্যাস এর চাপ কম থাকায় আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীন (৪০) রান্না করতে পারে নাই। এই সুযোগে আসামী ১। মোঃ জীবন (৩০) বাইরে থেকে নিজেদের এবং ভিকটিম অনন্যার জন্য খাবার কিনে নিয়ে আসে এবং সুযোগ বুঝে আসামী মোঃ জীবন (৩০) ভিকটিমের খাবারের সাথে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। ভিকাটম সেই ঔষধ মিশ্রিত খাবার খেয়ে কিছুক্ষনের মধ্যে তদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসময় আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) রান্না ঘরে খাবার প্লেট পরিষ্কার করতে যায়। সেই সুযোগে আসামী জীবন ভিকটিমের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দুপুর অনুমান ২.৩০ ঘটিকায় ভিকটিম অনন্যার রুমে প্রবেশ করলে ভিকটিম অনন্যা আসামী জীবন কে দেখে ফেলায় চিৎকার দিয়ে উঠে। আসামী জীবন সাথে সাথে ভিকটিমের বিছানায় থাকা বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিম এর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার কথিত স্ত্রী আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) কে গ্যাস লাইট নিয়ে আসতে বলে। আসামী নুসরাত জাহান মীম (৪০) তার স্বামী আসামী মোঃ জীবন (৩০) এর কথামত ভিকটিমের পায়ের আঙ্গুলে আগুন দিলে ভিকটিম নড়াচড়া না করায় তারা ভিকটিম এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর আসামীদ্বয় ভিকটিমের লাশ গোপন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। উভয়ের পরিকল্পনামতে লাশ ভিকটিমের ঘরে তালাবন্ধ করে বাইরে গিয়ে প্লাস্টিকের বড় বস্তা কিনে নিয়ে আসে পুনরায় বাসায় ফিরে আসে। তারা সন্ধ্যা অনুমান ৭.০০ ঘটিকার সময় কিনে আনা বন্ধায় ভিকটিম এর হাত পা বেধে বালিশ, কম্বল, পরিধেয় বস্ত্রাদী দিয়ে লাশ বস্তাবন্দী করে। তারপর তারা সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় বাসা পরিবর্তনের কথা বলে ২৫০ টাকার একটি অটো ভাড়া করে। আসামীরা বস্তাবন্দি লাশ অটোতে করে মামলার ঘটনাস্থল নারায়নগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন এলাকায় চর সৈয়দপুর এলাকায় ঢাকা হতে মুন্সিগঞ্জগামী রাস্তার বামপাশে ফেলে রেখে উভয়ে পালিয়ে যায়। মামলাটি। প্রাথমিক তদন্তকালে বর্ণিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। গত ৩১/০৩/২৪ তারিখে মামলার আসামীয়য় কে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হলে আসামী ১। মোঃ জীবন (৩০), বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এর আদালতে এবং আসামী ২। মুসরাত জাহান মীম (৪০), বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হায়দার আলীর আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার পরবর্তী তদন্ত অব্যাহত আছে।