ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসেম ফুডের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার (সেজান জুস) মালিক এম এ হাসেম ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন শ্রম আদালত।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান কিরন শংকর হালদার এ পরোয়ানা জারি করেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুলাই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনার আটদিন আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের শ্রম পরিদর্শক নেছার উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলার বাদী নেছার উদ্দিন বলেন, ২০২১ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহত হন। তবে এ ঘটনার ঠিক আটদিন আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন শ্রম আইনের ৯টি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আমি বাদী হয়ে ঢাকার শ্রম আদালতে একটি মামলা করেছিলাম। যেখানে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কারখানার মালিক এম এ হাসেম ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মামুনুর রশিদকে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল করোনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কারখানায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারখানার পূর্ব দিকের ছয়তলার কক্ষে নির্মল বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা, পরিদর্শক কর্তৃক কাজের সময়সূচির নোটিশ অনুমোদন না করা, কার্যকর সেফটি কমিটি না থাকা, যন্ত্রপাতি স্থাপনের ক্ষেত্রে দেওয়ালের ব্যবধান এক মিটার না রাখা, অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বর্তমান কারখানার মেশিন আউট-লেট প্ল্যানের সামঞ্জস্য না থাকা, বর্তমান শ্রমিক সংখ্যানুপাতে লাইসেন্স ক্যাটাগরি সঠিক না থাকা এবং ভবনের ভেতরে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা।’

ঢাকার শ্রম আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই মামলায় নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন।

এদিকে হাসেম ফুডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় ২০২১ সালের ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় কারখানা মালিক এম এ হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১) শাহান শান আজাদ (৪৩), কারখানার উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ (৫৩) ও সালাউদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

হাসেম ফুডের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার (সেজান জুস) মালিক এম এ হাসেম ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন শ্রম আদালত।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান কিরন শংকর হালদার এ পরোয়ানা জারি করেন।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুলাই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনার আটদিন আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের শ্রম পরিদর্শক নেছার উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলার বাদী নেছার উদ্দিন বলেন, ২০২১ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহত হন। তবে এ ঘটনার ঠিক আটদিন আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন শ্রম আইনের ৯টি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আমি বাদী হয়ে ঢাকার শ্রম আদালতে একটি মামলা করেছিলাম। যেখানে অভিযুক্ত করা হয়েছিল কারখানার মালিক এম এ হাসেম ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মামুনুর রশিদকে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল করোনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কারখানায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারখানার পূর্ব দিকের ছয়তলার কক্ষে নির্মল বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা না থাকা, পরিদর্শক কর্তৃক কাজের সময়সূচির নোটিশ অনুমোদন না করা, কার্যকর সেফটি কমিটি না থাকা, যন্ত্রপাতি স্থাপনের ক্ষেত্রে দেওয়ালের ব্যবধান এক মিটার না রাখা, অনুমোদিত নকশার সঙ্গে বর্তমান কারখানার মেশিন আউট-লেট প্ল্যানের সামঞ্জস্য না থাকা, বর্তমান শ্রমিক সংখ্যানুপাতে লাইসেন্স ক্যাটাগরি সঠিক না থাকা এবং ভবনের ভেতরে বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা।’

ঢাকার শ্রম আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই মামলায় নারায়ণগঞ্জ শ্রম আদালতের বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছেন।

এদিকে হাসেম ফুডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় ২০২১ সালের ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় কারখানা মালিক এম এ হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১) শাহান শান আজাদ (৪৩), কারখানার উপ মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ (৫৩) ও সালাউদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।