‘ব্যাটিং ব্যর্থতা’ শব্দটি এখন দেশের ক্রিকেটের অতিপরিচিত শব্দ। কি ছেলেদের ক্রিকেট আর কি মেয়েদের ক্রিকেট; এর বাইরে নেই কেউই। ব্যাটারদের শ্রীহীন, দৃষ্টিকটু ব্যাটিং চলমান। অবস্থাটা এমন যে, সবাই যেন ব্যাট করতেই ভুলে গেছে।
গত ছয় মাসে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে নারী ক্রিকেট দল। ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জয় করেছে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের সিরিজ হারিয়েছে। যেখানে এক ম্যাচে আড়াইশর ওপরে স্কোর করেছিল। কিন্তু সেই দলই কি না ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করল। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই একশ পার করতে পারল না।
লিটন-শান্তদের ব্যাটিং বিষণ্ণতা অবশ্য আরেকটু আগের। বিশ্বকাপ থেকেই চলছে তাদের রানখরা। যে কারণে বিশ্বকাপে হয়েছে ভরাডুবি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে ব্যর্থ ছিল বেশির ভাগ ব্যাটারই। টেস্টে গিয়ে সেটা হয়েছে পুরো দল। বিশেষ করে দৃষ্টিকটু ছিল লিটন-শান্তদের আউটের ধরনগুলো।
তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে- ব্যাটারদের এমন পারফরম্যান্সের কারণ কী? শান্ত-লিটন কিংবা পিংকি-মুর্শিদাদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কয়েকটি কারণ সুস্পষ্ট।
ওয়ানডেতে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে লিটন দাস বাদ পড়ার পর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ব্যাটিং করার সময় সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা বাজে ব্যাটিংয়ের একটি কারণ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর একই সুরে সুর মিলিয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বলেছেন, এটা ব্যাটারদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। ক্রিকেটাররা ক্রিকেটাররা নিজেদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে, মানসিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে।