ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাজের ভিসায় জার্মানিতে যাওয়া সহজ হলো

মনিটর এর দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে জার্মান সরকার৷ চান্সেনকার্টে বা অপরচুনিটি কার্ড নামের এই প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকেরা পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে জার্মানিতে আসার সুযোগ পাবেন। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।

১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই প্রকল্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের চাকরির কোনো চুক্তিপত্র ছাড়াই জার্মানিতে আসার সুযোগ করে দেবে৷ জার্মানিতে এসে এক বছর থাকার অনুমতি পাবেন তারা৷ এই সময়টিতে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ পাবেন তারা৷

মূলত জার্মান শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন এই উদ্যোগটি নিয়েছে সরকার৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে বিদেশিদের জার্মান শ্রমবাজারে ঢোকা সহজ হবে৷

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার শনিবার বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, জার্মানির অর্থনীতিতে বছরের পর বছর ধরে জরুরি কর্মী ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ যোগ্য হলে তারা আমাদের দেশে আসতে পারেন৷’

চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষাগত, পেশাগত এবং ভাষার দক্ষতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একজন আবেদনকারীকে চান্সেনকার্টে দেবে জার্মান সরকার৷ এজন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে৷ চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীকে অন্তত ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে হবে৷

চান্সেনকার্টে পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের যোগ্যতার কথা বলছে জার্মান সরকার৷

এর একটি হলো: আবেদনকারীর জার্মানিতে স্বীকৃত শিক্ষাগত বা পেশাগত যোগ্যতার বিদেশি সনদ থাকতে হবে৷ অথবা আবেদনকারী যদি জার্মানির কোনো বিশ্বিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তাহলেও তিনি চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ এমন সনদ থাকলে আবেনকারীকে সরাসরি আবেদন করার কথা বলা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারী জার্মানিতে চাকরি খুঁজে নেওযার জন্য ১৮ মাস সময় পাবেন৷

দ্বিতীয়টি হলো, আবেদনকারীর নিজ দেশে স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হবে৷ সেই সাথে ভোকেশনাল ডিগ্রিধারীদের দুই বছরের কাজের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷

ভাষাগত যোগ্যতার শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, আবেদনকারীকে অবশ্যই জার্মান ভাষার এ১ লেভেল অথবা ইংরেজি ভাষার বি২ লেভেলের দক্ষতা থাকতে হবে৷

যেভাবে গণনা হবে পয়েন্ট

সরকারের নতুন এই প্রকল্পের বিধি অনুযাযী, শুধু দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের বেলায় পয়েন্ট সিস্টেম গণনার প্রযোজন হবে৷ এর জন্য প্রয়োজনীয়-

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর যোগ্যতা যদি আংশিকভাবে জার্মান স্ট্যান্ডার্ডের সমতুল্য হয় তাহলে তাকে চার পয়েন্ট দেয়া হবে৷ আবেনকারীর যোগ্যতা যদি জার্মান সরকারের ঘাটতি বলে স্বীকৃত পেশার হয়ে তাহলে আবেদনকারীকে ২ পয়েন্ট দেয়া হবে৷ ঘাটতি বলে স্বীকৃত পেশার তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে৷

পেশাগত যোগ্যতা: শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে মিল রেখে পেশাগত যোগ্যতার জন্যও পয়েন্ট পাবেন আবেদনকারীরা৷ সেক্ষেত্রে সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং সর্বশেষ সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ৩ পয়েন্ট দেয়া হবে৷

ভাষা: জার্মান ভাষায় এ২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ১ পয়েন্ট, বি১ লেভেলের দক্ষতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং বি২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ৩ পয়েন্ট৷ তাছাড়া সি১ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য বা ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তাদেরকে একটি অতিরিক্ত পয়েন্ট দেয়া হবে৷

বয়স: যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়, তারা পাবেন ২ পয়েন্ট৷ আর ৩৫ থেকে ৪০ বছরের আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে এক পয়েন্ট৷

জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা: সর্বশেষ পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে যদি আবেদনকারী টানা ছয় মাস জার্মানিতে বৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তাকে এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷ তবে পর্যটক হিসেবে জার্মানিতে অবস্থান করে থাকলে তা গণনা করা হবে না৷ জার্মানিতে অবস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে আবেদনের সময় পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি জমা দিতে হবে৷

সবশেষে আবেদনকারীর সঙ্গীর (স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী) কথা বলা হয়েছে৷ আবেদনকারীর সঙ্গী যদি উপরোক্ত যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন তাহলে এর জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷

তথ্যসূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

সকল প্রকার কম্পিউটার পূন্যের দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

কাজের ভিসায় জার্মানিতে যাওয়া সহজ হলো

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে জার্মান সরকার৷ চান্সেনকার্টে বা অপরচুনিটি কার্ড নামের এই প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকেরা পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে জার্মানিতে আসার সুযোগ পাবেন। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের।

১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এই প্রকল্প দক্ষ বিদেশি কর্মীদের চাকরির কোনো চুক্তিপত্র ছাড়াই জার্মানিতে আসার সুযোগ করে দেবে৷ জার্মানিতে এসে এক বছর থাকার অনুমতি পাবেন তারা৷ এই সময়টিতে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি খোঁজার সুযোগ পাবেন তারা৷

মূলত জার্মান শ্রমবাজারে ক্রমবর্ধমান কর্মী সংকট মোকাবিলায় নতুন এই উদ্যোগটি নিয়েছে সরকার৷ আশা করা হচ্ছে, এর ফলে বিদেশিদের জার্মান শ্রমবাজারে ঢোকা সহজ হবে৷

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার শনিবার বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, জার্মানির অর্থনীতিতে বছরের পর বছর ধরে জরুরি কর্মী ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ যোগ্য হলে তারা আমাদের দেশে আসতে পারেন৷’

চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা

শিক্ষাগত, পেশাগত এবং ভাষার দক্ষতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একজন আবেদনকারীকে চান্সেনকার্টে দেবে জার্মান সরকার৷ এজন্য একটি পয়েন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে৷ চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আবেদনকারীকে অন্তত ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে হবে৷

চান্সেনকার্টে পাওয়ার ক্ষেত্রে দুই ধরনের যোগ্যতার কথা বলছে জার্মান সরকার৷

এর একটি হলো: আবেদনকারীর জার্মানিতে স্বীকৃত শিক্ষাগত বা পেশাগত যোগ্যতার বিদেশি সনদ থাকতে হবে৷ অথবা আবেদনকারী যদি জার্মানির কোনো বিশ্বিদ্যালয়ের ডিগ্রি বা পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন তাহলেও তিনি চান্সেনকার্টে পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন৷ এমন সনদ থাকলে আবেনকারীকে সরাসরি আবেদন করার কথা বলা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারী জার্মানিতে চাকরি খুঁজে নেওযার জন্য ১৮ মাস সময় পাবেন৷

দ্বিতীয়টি হলো, আবেদনকারীর নিজ দেশে স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হবে৷ সেই সাথে ভোকেশনাল ডিগ্রিধারীদের দুই বছরের কাজের প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে৷

ভাষাগত যোগ্যতার শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, আবেদনকারীকে অবশ্যই জার্মান ভাষার এ১ লেভেল অথবা ইংরেজি ভাষার বি২ লেভেলের দক্ষতা থাকতে হবে৷

যেভাবে গণনা হবে পয়েন্ট

সরকারের নতুন এই প্রকল্পের বিধি অনুযাযী, শুধু দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের বেলায় পয়েন্ট সিস্টেম গণনার প্রযোজন হবে৷ এর জন্য প্রয়োজনীয়-

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর যোগ্যতা যদি আংশিকভাবে জার্মান স্ট্যান্ডার্ডের সমতুল্য হয় তাহলে তাকে চার পয়েন্ট দেয়া হবে৷ আবেনকারীর যোগ্যতা যদি জার্মান সরকারের ঘাটতি বলে স্বীকৃত পেশার হয়ে তাহলে আবেদনকারীকে ২ পয়েন্ট দেয়া হবে৷ ঘাটতি বলে স্বীকৃত পেশার তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে৷

পেশাগত যোগ্যতা: শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে মিল রেখে পেশাগত যোগ্যতার জন্যও পয়েন্ট পাবেন আবেদনকারীরা৷ সেক্ষেত্রে সর্বশেষ পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং সর্বশেষ সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরের পেশাগত যোগ্যতার জন্য ৩ পয়েন্ট দেয়া হবে৷

ভাষা: জার্মান ভাষায় এ২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ১ পয়েন্ট, বি১ লেভেলের দক্ষতার জন্য ২ পয়েন্ট এবং বি২ লেভেলের দক্ষতার জন্য থাকছে ৩ পয়েন্ট৷ তাছাড়া সি১ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য বা ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা তাদেরকে একটি অতিরিক্ত পয়েন্ট দেয়া হবে৷

বয়স: যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি নয়, তারা পাবেন ২ পয়েন্ট৷ আর ৩৫ থেকে ৪০ বছরের আবেদনকারীদের জন্য রয়েছে এক পয়েন্ট৷

জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা: সর্বশেষ পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে যদি আবেদনকারী টানা ছয় মাস জার্মানিতে বৈধভাবে অবস্থান করে থাকেন, তাহলে এর জন্য তাকে এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷ তবে পর্যটক হিসেবে জার্মানিতে অবস্থান করে থাকলে তা গণনা করা হবে না৷ জার্মানিতে অবস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে আবেদনের সময় পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি জমা দিতে হবে৷

সবশেষে আবেদনকারীর সঙ্গীর (স্ত্রী বা জীবনসঙ্গী) কথা বলা হয়েছে৷ আবেদনকারীর সঙ্গী যদি উপরোক্ত যোগ্যতা পূরণ করে থাকেন তাহলে এর জন্য এক পয়েন্ট দেয়া হবে৷

তথ্যসূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস