ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাথেটার ব্যবহার করলে কি রোজার ক্ষতি হয়?

  • ইসলাম ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • 125

মনিটর এর দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

রোগের কারণে অনেক সময় ইউরিন ক্যাথেটার পরার প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ পেশাবের রাস্তার সাথে এক ধরনের নল লাগিয়ে পেশাবের ব্যবস্থা করা হয়। এ অবস্থায় সর্বক্ষণ রোগীর পেশার ঝরতে থাকে। ক্যাথেটার ব্যবহার করলে রোজার ক্ষতি হয় না। রোযা অবস্থায় প্রয়োজন হলে ক্যাথেটার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্যাথেটার লাগানো ব্যক্তি শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজুর বা অপারগ। এ অবস্থায় সে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় একবার অজু করবে এবং যতক্ষণ ওই ওয়াক্ত বাকি থাকবে এবং অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটবে না, ততক্ষণ ওই অজু দিয়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে পেশাব ঝরার কারণে তার অজু নষ্ট হবে না। তবে অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটলে তার অজু নষ্ট হয়ে যাবে।

সর্বক্ষণ পেশাব বা রক্ত ঝরতে থাকে এমন পুরুষ বা নারীদেরও একই হুকুম। হাদিসে এসেছে, একবার ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রা.) রাসুলের কাছে এসে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে, আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামাজ ছেড়ে দেবো? রাসুল (সা.) উত্তর দিয়েছিলেন, না, তুমি হায়েজের মেয়াদকাল নামাজ থেকে বিরত থাকো, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যাবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং নামাজ আদায় করবে। (সহিহ বুখারি: ২২৮)

সকল প্রকার কম্পিউটার পূন্যের দাম জানতে এখন-ই ক্লিক করুন

ক্যাথেটার ব্যবহার করলে কি রোজার ক্ষতি হয়?

আপডেট সময় : ০১:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

রোগের কারণে অনেক সময় ইউরিন ক্যাথেটার পরার প্রয়োজন পড়ে অর্থাৎ পেশাবের রাস্তার সাথে এক ধরনের নল লাগিয়ে পেশাবের ব্যবস্থা করা হয়। এ অবস্থায় সর্বক্ষণ রোগীর পেশার ঝরতে থাকে। ক্যাথেটার ব্যবহার করলে রোজার ক্ষতি হয় না। রোযা অবস্থায় প্রয়োজন হলে ক্যাথেটার ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্যাথেটার লাগানো ব্যক্তি শরিয়তের দৃষ্টিতে মাজুর বা অপারগ। এ অবস্থায় সে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের সময় একবার অজু করবে এবং যতক্ষণ ওই ওয়াক্ত বাকি থাকবে এবং অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটবে না, ততক্ষণ ওই অজু দিয়ে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে পেশাব ঝরার কারণে তার অজু নষ্ট হবে না। তবে অজু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ ঘটলে তার অজু নষ্ট হয়ে যাবে।

সর্বক্ষণ পেশাব বা রক্ত ঝরতে থাকে এমন পুরুষ বা নারীদেরও একই হুকুম। হাদিসে এসেছে, একবার ফাতিমা বিনতে আবু হুবায়শ (রা.) রাসুলের কাছে এসে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে, আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামাজ ছেড়ে দেবো? রাসুল (সা.) উত্তর দিয়েছিলেন, না, তুমি হায়েজের মেয়াদকাল নামাজ থেকে বিরত থাকো, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যাবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং নামাজ আদায় করবে। (সহিহ বুখারি: ২২৮)