ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাম্পাসে ইফতার যেন সম্প্রীতির বার্তা দেয়

চলছে মাহে রমজান। এই মাসে ধৈর্য আর সহনশীলতার পরিচয় দিতে রোজা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দিন শেষে যে যার মতো করে ইফতার করেন তারা। তবে অনেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে বসে ইফতার করেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মাঝে বিস্তীর্ণ সবুজ খেলার মাঠ। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সবুজ চত্বরে গোল হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বসে একসাথে ইফতারের আনন্দ উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ দূর করে ইফতার আয়োজন যেন অন্যরকম এক বার্তা দেয়।

শুধু ক্যাম্পাসের সবুজ মাঠে ইফতারি আড্ডা জমে ওঠে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি ফিল্ড, টিএসসির সিঁড়ি, কৃষি অনুষদ মাঠ, শহীদ মিনার এবং হলগুলোর ছাদেও আড্ডা জমে ওঠে ইফতার ঘিরে। ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করে অন্যরকম আনন্দ আবহ। ইফতার উৎসব চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

শিক্ষার্থীদের আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ইফতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরাই আয়োজন করেন সবকিছুর। এরপর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে একসঙ্গে ইফতার করেন। তাদের মনেই হয় না যে তারা পরিবার থেকে দূরে কোথাও ইফতার করছেন। প্রতিদিন এমন পরিবেশেই ইফতারের আনন্দ উপভোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে ইফতার করতে আসেন বিভিন্ন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। ক্যাম্পাসের জীবনের আনন্দ নিয়ে কখনও সংগঠনের দাওয়াতে আবার কখনও বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ইফতার করেন তারা। এ যেন প্রাণের মেলায় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ।

ইফতার পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যায় চলে আড্ডা। কেন্দ্রীয় মাঠ, জহির ক্যান্টিন, টং এর দোকানে এক কাপ চা এর সাথে চলে পুরোদমে আড্ডা।

ক্যাম্পাসে ইফতার যেন সম্প্রীতির বার্তা দেয়

আপডেট সময় : ০৩:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চলছে মাহে রমজান। এই মাসে ধৈর্য আর সহনশীলতার পরিচয় দিতে রোজা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দিন শেষে যে যার মতো করে ইফতার করেন তারা। তবে অনেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে বসে ইফতার করেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মাঝে বিস্তীর্ণ সবুজ খেলার মাঠ। ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সবুজ চত্বরে গোল হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বসে একসাথে ইফতারের আনন্দ উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ দূর করে ইফতার আয়োজন যেন অন্যরকম এক বার্তা দেয়।

শুধু ক্যাম্পাসের সবুজ মাঠে ইফতারি আড্ডা জমে ওঠে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি ফিল্ড, টিএসসির সিঁড়ি, কৃষি অনুষদ মাঠ, শহীদ মিনার এবং হলগুলোর ছাদেও আড্ডা জমে ওঠে ইফতার ঘিরে। ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করে অন্যরকম আনন্দ আবহ। ইফতার উৎসব চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

শিক্ষার্থীদের আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও ইফতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরাই আয়োজন করেন সবকিছুর। এরপর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে একসঙ্গে ইফতার করেন। তাদের মনেই হয় না যে তারা পরিবার থেকে দূরে কোথাও ইফতার করছেন। প্রতিদিন এমন পরিবেশেই ইফতারের আনন্দ উপভোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে ইফতার করতে আসেন বিভিন্ন অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। ক্যাম্পাসের জীবনের আনন্দ নিয়ে কখনও সংগঠনের দাওয়াতে আবার কখনও বন্ধু-বান্ধবরা মিলে ইফতার করেন তারা। এ যেন প্রাণের মেলায় বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ।

ইফতার পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যায় চলে আড্ডা। কেন্দ্রীয় মাঠ, জহির ক্যান্টিন, টং এর দোকানে এক কাপ চা এর সাথে চলে পুরোদমে আড্ডা।